রিক্সা করে চলার পথে দেখলাম ঠেলাগাড়ি ভর্তি জলপাই। আমি দেখেই নেমে পড়ি। আহ! কতদিন পর। আর, না ধুয়ে খাওয়া শুরু করি দরদাম করতে করতে।
গত কয়েকবার দেশে জলপাইর সিজনে যাওয়া হয়নি। যদিও আমি কানাডায় দেখেছি। তবে কিনা সেই জলপাইর স্বাদ আমি পেলামনা।
আমি ঠিক করেছিলাম অনেক আঁচার বানিয়ে আনব। সোনিয়া আপুকে বলেছিলাম উনি করে দিবে সব ঠিক ঠাক। মরার কানাডায় এত রুল, যার কারনে আনতে পারলামনা। হায়রে!! সব কটা জলপাই ফেলে চলে আসতে হল।
এবার বলি একি নামে একটি শহরের কথা...যাহা, অনেকে হয়ত জানেন...
জলপাইগুড়ি, একটি শহরের নাম, ইন্ডিয়াতে ওয়েষ্ট বেঙ্গলে অবস্থিত। জলপাইগুড়ির কথা কেন লিখছি? কারন আমার প্রিয় ফল এই জায়গাই এক সময় অনেক ছিল। এবং নামটি আমার অনেক পচ্ছন্দ হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরে এক সময় জলপাই আর জলপাই ভরে ছিল নিশ্চয়। কিন্তু উকিতে লিখেছে জলপাইগুড়ি নামটি এসেছে ভুটানিস ভাষা থেকে, যার অর্থ "যেখানে গরম কাপড় কেনা এবং বিক্রি করা হয়।" আর বাংলা শব্দে ইহাকে "শহর ভর্তি জলপাই" বলা হয়। আমি না হয় এই অর্থ ধরে নিলাম। কারো কিছুকি যায় আসে? না আসেনা।
জলপাইগুড়ি শহর জুরে আছে তিস্তা নদী, পাহাড়, সবুজ আর সবুজ পুরো আমাদের দেশের মত। আরো কি? রেলওয়ে পথ আছে, আমাদের দেশ থেকে সহজে ভ্রমন করা যাবে। সময়, এবং সামর্থ থাকলে ঘুরে আসব আমার পচ্ছন্দের ফলের নামের শহরে। যেহেতু, আমার প্লেন আছে কলকাতা, ডার্জিলীন, শিলং ঘুরার পাশাপাশি জলপাইগুড়ি দেখা হয়ে যাবে।
জলপাই তো দিলেন কিন্তু দিদি জল পাই কোথায় বলতে পারেন?
ReplyDeleteজলপাই তেল
ReplyDeleteশুধু রান্না নয়, সৌন্দর্য বর্ধনেও জলপাই তেল অনেক সাহায্য করে। আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয় তবে আপনি জলপাই তেল হালকা গরম করে ম্যাসাজ করতে পারেন। এর ফলে ত্বকের রুক্ষভাব কমে আসবে। চুলেও এটা ব্যবহার করা হয় ময়েশ্চারাইজ্ড করার জন্য। নখ যদি খুব শক্ত হয় তবে হালকা গরম জলপাই তেল তুলা দিয়ে ভিজিয়ে নখের উপর কিছুক্ষণ রাখলে ভালো উপকার পাবেন। এ ছাড়াও জলপাই তেল মেকআপ তোলার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। অন্য যে কোনো কিছুর তুলনায় এটা অনেক তাড়াতাড়ি ও সহজে মেকআপ পরিষ্কার করে। চুলে খুসকি, চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যা থাকলে জলপাই তেল কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। তেল ও মধু মিশিয়ে জলপাই তেল কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
আপু আমি জলপাইগুড়ি শহরের একটা ভক্ত... তবে আমার এই কারণ আপনার মতন জলপাই পছন্দ করার মতন দেখে না! বরং এইটার কারণ সমরেশ মজুমদার এর অনেকগুলো উপন্যাস... উত্তরাধিকার এর অনিমেষ এর আংরাভাসা নদী... আরও কত কী!!
ReplyDeleteকী সুন্দর সেই কল্পনার আংরাভাসা, সাতকাহনের দীপাবলী... মনে পড়ে যায় অনেক কথাই...
লেখাটা সুন্দর হইছে আপু :D
Minus tor ei lekhati pore khub vhalo laglo... Mahmud Faisal er moto amio Somoresh Mojumder er lekhar ekjon bhokto... unar lekha boi gulo porte porte chokher shamne jolpaiguri'r prakritik drishyo gulo jeno jibonto hoye uththo moner anginai.
ReplyDeleteRiton onek upokari tothyo dilo jolpai shomporke. er moddye onek gulo amar jana thakleo, Tel, modhu are jolpai tel mishiye conditioner hisebe bebohar kora jay eta jana chilona... dhonnyobad Riton keo.
Janis bonu..ei Jolpaigurhi sohor ta ekta chotto sajano sohor, jar chardike ghono doors er jongol..
ReplyDeletegari te kore ektu egolei Buxa reserve forest...eto ga chom chome ghono jongol r dekhini kokhonoo..chokh jay na gach er opare..
kachei ache Gorumara forest..bison er chita bagh e vorti...jawar pothe kichu sabuj cha bagan o dekhe nite perbii..
jakhan Jalpaiguri station theke train ta r o dure coachbihar er dike jay, takhan sei train line er du pash e dekha jay ghono jongol..
reserve forest er modhye diye rasta..ektu dur e teesta..kokhono kokhono ek pal hati ese othe rail line e :)
রিতন দাদা, আহ! কত কিছু জানতে পারলাম। জলপাই এর গুনাবলী দেখছি অনেক।। তেল সম্মন্ধে জানতাম, আব্বু অসুস্ত যখন হয়, তখন আমরা অন্য তেল ব্যাবহার না করে জলপাই তেল দিয়ে রান্না করা শুরু করে। হার্ট এর জন্য খুবি উপকার। মাথায় ব্যাবহার করি। যে যাই বলে তাই চুলে লাগাই চুল গজানোর জন্য। হাহাহাহা...হুম, অন্যান্য গুনাবলী আসলেই নতুন। তেল ও মধু মিশিয়ে জলপাই তেল কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। অনেক ধন্যবাদ আমার রিতন দাদা কে।
ReplyDeleteফায়সাল ভাইয়া, আমার পচ্ছন্দ করার পেছনে সমরেশ মজুমদার এর অনেকগুলো উপন্যাস ও আছে। তবে জলপাই খেয়ে এসেছি সেই বাল্যকাল থেকে। আর নাম জেনেছি উনার বই আর অনেক ছবি দেখে। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে আমার এই মনের লিখা পড়ার জন্য।
মুনিদি, বাহ! আমি অবাক হলাম তোমার উত্তর পেয়ে। হুম, আমিও রিতন দাদা কে দিলাম অনেক ধন্যপাতা হিহিহি।
বুনানদা, আহ! দাদা তোমার এই কয়েকটা লাইনে আমি দেখে এলেম জলপাইগুড়ি।
সমরেশ মজুমদার এর উপন্যাস পড়ে অনেকবার দেখা হয়েছে। আমিও যেতে চাই সেই প্রকৃতীর মাঝে। হারাতে চাই জঙ্গলে...
আপনার লেখা দেখে না, আপনার জলপাইগুড়ির প্রতি অনুভব দেখে এটা লিখলাম।
ReplyDeleteসতাব্দী দিদি, আপনি দেখছি জলপাইগুড়ি থাকেন। ইস!! কি সৌভাগ্য আমার। আপনার ব্লগ পড়ে মনে হচ্ছে আর একবার ঘুরে এলেম জলপাইগুড়ি থেকে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগে কিছু লেখার জন্য। খুব ভালো লাগছে।
ReplyDeleteএমা... আমাকে দিদি বলবে না। আমি তোমাকে আপা বলে ডাকবো। আমি আপনার ঐ "জলপাই - জলপাইগুড়ি" শহরেরই বাসিন্দা। সেদিন আপনার ব্লগ দেখে ভালো লেগেছিল। আর আমি ব্লগে একদম নতুন তাই অনেক শেখার বাকি আছেগো। তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করে ভীষন ভালো লাগছে কিন্তু...
ReplyDeleteসতাব্দী দিদি, ডাকতে আমার ভালো লাগছে তাই। কিন্তু আপনার কি খারাপ লাগল দিদি? আমাকে আপা ডাকতে হবেনা, মিনা ডাকলে চলবে। দিদি ব্লগের আমিও তেমন কিছু জানিনে শুধু আমার মনে ভাব প্রকাশ করি। সেটা আপনি ও শিখে যাবেন। আমার ভালো লাগছে জলপাইগুড়ির দিদির সাথে পরিচিত হয়ে।
ReplyDeleteমিনা...... খুব সুন্দর নাম! এই কাওকে দিদি বলে ডাকতে হবেনা, আমি তোমাকে মিনা বলে ডাকব আর তুমি আমাকে শতাব্দী বলে ডাকবে। দেখতো তুমি যদি এতো সুন্দর ব্লগ আর জলপাইগুড়ির সম্পর্কে না লিখলে তোমাকে খুজেই পেতাম না। সেই কোথায়, কত দূরে থাকো তুমি..।
ReplyDeleteএখন তুমি আমার পরিচিতদের মধ্যে সবচেয়ে দূরে থাক, কিন্তু আমার মনে হয় খুব কাছে। জানো, এই যে এখন তোমাকে লিখছি আর বাইরে, জলপাইগুড়ি শহরের বুকে বৃষ্টি আছড়ে পরছে....... ইস্ যদি তোমাকে দেখাতে পারতাম..।
আচ্ছা মিনা বৃষ্টি তোমার প্রীয়?
আহ! অনেক ধন্যবাদ দিদি, আমার খুব ভালো লাগছে দিদি ডাকতে। কেন দিচ্ছনা ডাকতে? আমাকে তুমি মিনা বলেই ডাক। কোন অসুবিধে নেই। শতাব্দী নাম আমার খুব খুব পছন্দ। সেই ছবি থেকে শোনা। প্রশংজিত এবং শতাব্দী। আসলে ঠিক জলপাইগুড়ির সম্পর্কে লিখেছি বলেই শতাব্দী দিদি পেলাম তাও আমার পছন্দের জলপাইগুড়ি শহরের।
ReplyDeleteআসলেই খুব কাছে। জলপাইগুড়ি শহরের বুকে বৃষ্টি আছড়ে পরছিল যে মহুর্তে আমিও কিন্তু সাথে সাথে ঝরেছিলাম, দেখেছিলে আমাকে? আমি সেই বৃষ্টি বিলাসিনি, যে থাকে মেঘলা মেঘের দেশে আর বৃষ্টি হয়ে পড়ে শেষে। আমাকে দেখাটা খুবি সহজ উপাই বলে দিলাম। কিন্তউ মানুষ রুপে দেখতে চাইলে তারও উপাই আছে। চাইলে জানাব।
আচ্ছা মিনা বৃষ্টি তোমার প্রীয়? - আহা, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে রচনা লিখা হয়ে যাবে এবং সেই রচনার মনে হইনা এইখানে জাইগা হবে শুধু আমার অন্তর ছাড়া। আমি এইটুকুই বলব, আমি বৃষ্টি চাই, আমি বৃষ্টি চাই, বার বার...খুব ভালোবাসি। গানটা শুনেছিলে? শুভমিতার। আমার অনেক ভালো লাগে উনাকে।
জানি,বৃষ্টি তোমার প্রীয়, তাই হয়ত জলপাইগুড়ির এই প্রচন্ড শীতের মরশুমেও তুমি বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরছিলে... ভাবতে পারবেনা মিনা তোমার কথা কি মনে পড়ছিল...শুভমিতা যখন আমাদের জলপাইগুতে এসেছিল তখনই ওর গান শোনা এবং বৃষ্টিকে আরও ভালোলাগা। কখনো মনে হয় তুমি সামনে থাকলে কত গল্প করতাম। আমাদের প্রীয় তিস্তা নদী, আমাদের শহর, আমাদের বর্ষাকাল আরও কত কি। আর বিশেষ করে জলপাইয়ের আচার। হয়ত একদিন সবই সত্যি হয়ে যাবে তাইনা? কারন তুমি বলেছ তোমার দেখা পাওয়া যাবে, বড় ভাগ্য আমার। কিভাবে দেখব তোমাকে জানিও, আর আমাদের প্রীয় তিস্তা নদী এবং আমাদের সবার থেকে তোমায় আমন্ত্রন জানাই, একবার এসো...
ReplyDelete