Wednesday, December 09, 2009

বৃক্ষের কান্না - প্রথম আলো ডেস্ক

গাছেরা কি কাঁদতে জানে? করতে পারে গগণবিদারী আর্তনাদ? পারলেও সে কান্না আর আর্তনাদ আমাদের কাছে সরাসরি পৌঁছানোর কথা নয়। কিন্তু মনের চোখ দিয়ে দেখলে গাছেদের বোবাকান্না ঠিকই টের পাওয়া যায়। এই যেমন, ২ ডিসেম্বরের বিশাল বাংলা পাতার ছবিটা। ছিনতাই হয়ে গেছে ছায়াদায়িনী বৃক্ষের পুরোটা শরীর। গোড়ার কাটা অংশটা শুধু মুখ ব্যাদান করে আছে আকাশের পানে।



দেরিতে হলেও বাংলার মানুষ গাছের ‘মূল্য’ বুঝেছে। সে কারণেই গাছের ওপর এই অনাচার! গাছ কেটে নিয়ে পকেট ভারী করার প্রতিযোগিতা? মানুষের লোভের শিকার হয়ে নিজের লুট হয়ে যাওয়ার পরিণতি বোধ করি বহু আগেই মেনে নিয়েছে আমাদের বৃক্ষরাজি। কক্সবাজারে ঝাউবন নিধন, রাতারাতি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া কিংবা শত্রুতার বশে গাছ কেটে দেওয়া—এসব এখন আমাদের নিত্যদিনের চেনা খবর। তার পরও আচমকা ওই কাটা গাছের ছবিটা দেখে বুকটা বড় হু হু করে। দূর অনন্তের পানে তাকিয়ে গাছের গোড়াটা বুঝি প্রতিবাদী কোনো ভাস্কর্যের মতো নীরব বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। কিংবা হয়তো এই ছিন্ন শরীরটা নিয়েই সে যন্ত্রণায় দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে কাঁদে। স্বার্থলোভী লোলুপ মানুষগুলোর কানে সে কান্না কখনো পৌঁছায় না। আর পৌঁছে না বলেই মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ৩০টি সেগুনগাছ চুরির খবর আমাদের আর তেমন বিস্মিত করে না।
—ই. হো .চৌ

==========================================================

উপরের লিখাটি পড়ে খুবি মন খারাপ হলো। এমনিতে লিখালিখি হচ্ছে দেশ ডুবে যাবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে দেশ তলিয়ে যাবে। তার উপর এইসব নোংরামী। মানুষ আর মানুষ রইলনা। স্বার্থলোভী লোলুপ মানুষগুলোর কানে মানুষের কান্না পোঁছায় না, আর গাছের? কড়া আইনের ব্যাবস্থা নেয়া উচিত এদের বীরুদ্ধে। সেই হোক শত্রুতার কারনে অথবা পকেট ভারী করা মানুষ। দু'জনে-ই জনগনের এবং দেশের শত্রু। এদের শাস্তি দেয়া হোক। আর নতুন ভাবে গাছ লাগানো পদক্ষেপ নেয়া দরকার।

2 comments:

  1. আমার খুব দুঃখ লাগে আপু জানেন? আমরা জাতি হিসেবে এতটা অদ্ভূত! যারা এই কাটাকাটিগুলো করেন তারা কী একবারও ভেবে দেখেন না যে তারা কী করছেন? তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন কীভাবে!!

    হয়ত সেইদিন দূরে না, যেইদিন আমরা বোধোদয় দেখবো।। আল্লাহ আমাদের মাঝে সেই ভাবনার উদয় করুন... :(

    ReplyDelete

নিজের মতামত প্রকাশ করলে ভাল লাগবে। ধন্যবাদ!