২১ সেপ্টেমম্বার ২০০৯, ঈদ শুরু হয় ঝুমবৃষ্টিতে। ভোর সাতটায় রাহাতের সাথে বেড় হয়েছিলাম রিক্সায় করে পরোটা আনার জন্য। বৃষ্টি পড়ছে জেনে রাহাত ছাতা নিয়ে নিয়েছিল। বে-রসিক! ও চায়না আমরা কেউ অসুস্থ হয়ে পরি। কে চায়? কিন্তু বৃষ্টি পড়লে আমার কি করার আছে? আরে বাবা রিক্সায় উঠলাম, বৃষ্টি পড়ছে, ফাঁকা রাস্তা, আমি তুমি, এর চেয়ে পারফেক্ট আর কি হতে পারে? তার মাঝে ছাতা কেন? ছাতাটা আমার হাতে নিয়ে ফেলি। রিক্সার হুড ফেলে বসি। রিক্সা থামে একটি চায়ের দোকানের পাশে। রাহাত নেমে পড়ে, আমি রিক্সায় বসে বৃষ্টি উপভোগ করছিলাম। রাহাত নেমে পড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি বেড়ে গেল। ইস কি মজা! ভেতর থেকে রাহাত বার বার বলছিল মিনা হুড তুলে দাও, মিনা অসুস্থ হয়ে যাবা, মিনা ছাতা ধর, আমি শুধু হাসি। যখন রাহাত উঠে এল রিক্সায়, কি অদ্ভুত! বৃষ্টি কমে যায়। তাই বাসা ফেরার পথে হুড এবং ছাতা লাগেনি। আমাকে ওর পুরোনো পরিচিত অলি গলি দেখিয়ে নিয়ে আসে।
বাসায় ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যে ঝুমবৃষ্টি শুরু হয়, আপুকে অনেক বার অনুরোধ করি আমাকে ছাদে নেয়ার জন্য। একা যেতে চাইছিলাম না। শুধু বলে তালা মারা ছাদে। আমার শাশুরি আপুকে, রাহাতকে বলে আমাকে নিয়ে যেতে। আমি ভিজতে চাই কতদিন ছাদে উঠে ভিজিনা। কেউ নিতে চায়না সবাই ব্যস্ত। বৃষ্টি আমায় ডাকছে, কিন্তু আমার ডাকে কেউ সারা দিচ্ছিলনা, তাই একলা পথ বেছে নিয়েছিলাম। "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলরে…" দৌড় দিয়ে দরজা খুলে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে থাকি জানিনা কত উপরে ছাদ। এলিভেটর ছিল, যদি কারেন্ট চলে যাই? আমি ভুলেও এলিভেটরে উঠিনা। উঠতে উঠতে চিন্তা করতে থাকি ছাদ বন্ধ থাকে যদি? তখন? কি আর করব নেমে আসব নিরাস হয়ে তারপরও নিজেকে বুঝ দিতে পারব চেষ্টা করেছিলাম। এতক্ষনে সাত ফ্লোরে উঠলাম ২ থেকে ৭? না স্পীড বারাতে হবে। আর কত বাকি কে জানে। জানালা দিয়ে তাকালে দেখা যাচ্ছে বৃষ্টি কমে আসছে। এদিকে রাহাত পেছন নিয়েছে আমার। আমি হেসে ফেলি। আলো দেখা যাচ্ছিল, আমার খুশি দেখে কে? নয় পেরিয়ে দশে ছাদ। বাহ! সব চেয়ে বড় কথা হল ছাদ খোলা। সার্থক! আমি পৌঁছানোর পড় ঝুমবৃষ্টি আমায় বরণ করে নিল। মনে হচ্ছিল এতক্ষন আমারি অপেক্ষায় ছিল। রাহাত তখন রেডি হয়ে যায় নামাজ পড়ার জন্য। তাই বৃষ্টির সঙ্গী হতে পারেনি। তবে আমি আমার সঙ্গীনি ছিলাম। মন্দ কি? তারপরও খুশি ও এসেছে। "ও মোর রমযানের ঐ রোযার শেষে এল বৃষ্টির ঈদ" কিচ্ছুক্ষণ আগেও কল্পনা করিনি বৃষ্টির পানিতে আমার ঈদের স্নান হবে। মা’মনি জিজ্ঞেস করে “কি মা প্রাণ ভরে বৃষ্টিতে ভেজা হয়েছে তো?” দুলা জিজ্ঞেস করে "কি শান্তি?" আপু "কি কেমন লাগল?" খুব খুব খুব ভালো, শান্তি, দারুন ভাবে আমার ঈদ শুরু…
লেখাটি অনেক আগে আশা করেছিলাম, এতো দেরি হলো কেন? তবে সুন্দর হয়েছে। মাঝে মাঝে নিজের অনুভূতির কথা জানাতে ইচ্ছে করে কিন্তু বাংলায় লিখতে হবে চিন্তা করলেই হাত ব্যাথায় অবশ হয়ে আসে।
ReplyDeleteদাদা ধন্যবাদ এই অধমের অনুভুতি পড়ার জন্য। তুমি আমাকে করা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলে। আমার সমস্যা হল "বাংলায় লিখতে হবে চিন্তা করলেই হাত ব্যাথায় অবশ হয়ে আসে" আর বানান। এত ঠিক করি অভ্যাস যেন চলে যাচ্ছে। তাই চেষ্টা চলছে ঠিক করার।
ReplyDeleteMerkur 34C Double Edge Safety Razor - Chrome - Deccasino
ReplyDeleteMerkur 34C Double Edge Safety 제왕카지노 Razor. $85.00. Availability: In Stock. Add to cart. Description: The kadangpintar Merkur 34C razor features an extra 메리트카지노 long,