Saturday, November 28, 2009

এইত সেইদিনের ঈদ ১৯৯৮...আর ২০০৯...

কোরবানির সাথে সাথে ধুম পড়েছে অনেক কিছু কেনাকাটার। রয়েছে গরু-ছাগলের হাট, মসলা বাজারের আকাশ চুম্বি দাম, কুমারের এই সময় আনন্দের ব্যাবসা হয় বিভিন্ন সাইজের ছুরি বানিয়ে দাম লাগায়, পরাটা? আছে পাশাপাশি কাপড় কেনা, ইলেক্ট্রনিক্স - ফ্রীজ তার মধ্যে অন্যতম, টিভিত আছেয়। আর এখন ওয়াল্টন দিচ্ছে আমাদের পন্য সেই জন্য দেকছি সবাই এগিয়ে যাচ্ছে।

আগে দেখা যেত শুধু গরু কেনার টাকা তুলতে হিমসিম খেতে হত, আর সেই মাংস সবটি রান্না করে রেখে দেয়া হত বিভিন্ন সাইজের ডেকচিতে যাতে মাংস নষ্ট না হয়। কারন সবার ঘরে ফ্রীজ ছিলনা, জানিনা অন্যদের ব্যাপারে, তবে আমাদের ছিলনা (৮ পরিবার)। ঘি তোলা হত মাংসের চর্বি থেকে। চর্বি দিয়ে বানাত লুচি। আর লুচি দিয়ে খেতাম ঝাল ঝাল ছিন্নির মাংস, শিক কাবাব, মগজ আর নিহারী অথবা বলা হয় চিটাং ভাষায় নলার ঝোল ঈদের পরের দিন। ইস যা লাগতনা খেতে। আমার দেখা মতে চট্টগ্রামে খুব ভালোভাবে মানুষ কোরবানী ঈদ পালন করে। সেই গরু কেনা হতে শুরু করে দেখতাম, জবাই, কসাই দিয়ে কাটাকাটি আবার মাংস বিলানো গরীবের মাঝে। বিশাল ডেকচির মধ্যে ছিন্নির মাংস রান্না করা হত। এরপর মাংস বাটাবাটি করা হয় ঘরে ঘরে। তবে কাপড় কেনাকাটা, অথবা ইলেক্ট্রনিক্স এর চেয়ে সবার মাথায় কাজ করত মাংস...সেই ভাগ হোক অথবা আস্ত।

ফ্লোরিডা এবং ক্যানাডার কোরবানী ঈদ। ১১ বছর ফ্লোরিডার কোরবানী করা হয় এবং সব কিছু চিটাগং এর মত করা যায় নিজের মত করে। শুধু চর্বি ছাড়া। আম্মা এখানে এসে অনেক সতর্ক হয়ে গেছে। তাই মাংসের আনাচে কানাচে চর্বি সব ফেলে দেয়া হয়। সেই লুচি খেতে পারিনা। সেই নলার ঝোল ও ভাগ্যে জুঠেনা।

এই প্রথমবার ঈদ করলাম ক্যনাডায়, তাও এইটা কেমন কোরবানী বুঝতেছিনা এখনো। হাহাহাহা, তবে নতুন অভিজ্ঞতা হল বটে। রান্না করলাম নিজের সংসারে, যদিও এই প্রথম - মাংস, পোলাও, রেশমী সেমাই, চালের রুটি এবং চটপটি। তাও কম কি। দেশের কত মানুষ এটাও পাইনা।

বুঝতেছি অনেকে অযথা টাকা খরচ করে কোরবানী দেই। যেখানে একটা গরু সাত ভাগ দেয়া যাবে তাহলে কেন একটা গরু একজন দিচ্ছে? এটা কি অপচয় নই? টাকাই যখন খরছ করবে কোরবানির পিছিনে তাহলে একভাগ গরু নিয়ে বাকি টাকা কি আমারা একটি গরীব বা তাদের জন্য কিছু করতে পারিনা? আজকে এই দিনে যেমন সবাই ভালো চলছে দোয়া করি এবং কামনা করি যেন সবাই সুন্দর, সুস্থ এবং ভালো থাকে ঈদের দিনের মত প্রতিদিন। আগামী ঈদে যেন সবার পেটে জুঠে অন্ন। শুভ কামনা রইল ঈদের অনেক শুভেচ্ছা।

Tuesday, November 24, 2009

Sibbald Point - Ontario, Canada

টরেন্টো শহর থেকে প্রায় ১০০ কিঃমিঃ দূরে। ১১০ কিঃমিঃ বেগে ড্রাইভ করে পোঁছায় আমরা সিবাল্ড পয়েন্টে। সেইদিন রবিবার ছিল, রাস্তা নীরব থাকার কারনে আরো ভাল লেগেছিল। বলতে গেলে পুরোপুরি গ্রাম। যদিও আমাদের দেশের গ্রামের চেয়ে এরা খুবি মডার্ন।

এই দেশের কৃষকেরা প্ররিশ্রম করে তাই অনেক টাকা অনেক সমাদর এদের। সমাজে অনেক দাম। আমাদের দেশের মত নই। যেখানে কৃষক কে মানুষ বলে গন্য করেনা। হাস্যকর বটে। এই দেশের কৃ্ষকদের আছে বিশাল আকারের দালান, দামি দামি গাড়ি, বড় বড় বোট আর কত কি। তবে এখানে গ্রামের ভাব বোঝা যাই শুধু মাত্র গরু, সবুজ ক্ষেত, ভুট্টার চাষ, মুর্গীর ফার্ম।

সূর্যের কিরনের কারনে ঝিক ঝিক করছে সর্নালী ঘাস গুলো। যদিও পরে আবিস্কার করি ওগুলো ঘাস নই। ভুট্টা তুলে ফেলার পর ক্ষেতে যা থাকে অবশিষ্ট তা হয়ে যাই সর্নালী, ঠান্ডা আবহাওয়ার কারনে।

সিবাল্ড পয়েন্টে আমরা নেমে পরি একটা লেকের পাশে। ঠান্ডা শির শির বাতাস। কাঁপাকাঁপি থামেনা আমার। ভাগ্য ভালো গরম গরম কফি ছিল হাতে। লম্বা আলখাল্লা সাইযের জুম্বা পরেছিলাম তারপরও রেহাই পেলাম না। যদিও কিছুক্ষন পর আমার শরীর সেই পরিবেশে আসক্ত হয়ে গিয়েছিল। দারুন লাগছিল সব। অনেকদিন পর সূর্য অস্ত দেখলাম। ক্যানাডায় এত সুন্দর সূর্য অস্ত দেখিনি। যদিও লেক এর উপর সূর্য অস্ত হয়নি, দিক এর কারনে। ফ্লোরিডায় সূর্য অস্ত যাওয়া দেখার মজায় আলাদা। কি শান্তি এক্তা আমেজ থাকে। সূর্য অস্ত তার সাথে ঢেউ এর খেলা। আহ!!।

তবে বসন্তের ছবি তোলা থেকে, পিকনিক, রোমান্টিক, সব কিছুর জন্য মোনোরম এক্তি জায়গা। এক এক সময় এক এক রকম রুপ ধারন করে। গরমের সময় আসলে অনেক কিছু করা যেত, যেমন, হাইকিং, ফিশিং, সাইকেলিং, এবং আর অনেক আনন্দ। বরফের সময় কেমন তা দেখা দরকার...হাহাহা যি না আমি আর এই ঠান্ডায় যাচ্ছিনা। এই সময় কোন গাছে পাতা নেই। সবটি পাতাহীন। সুর্যের আলো যখন এই পাতাহীন গাছের উপর পরছিল মনে হচ্ছিল, গাছ বলছে নাহ! প্রান আছে এখনো সুর্য মামার তাপ চাই পাতা ফিরে আনতে হবে চার মাস পরে।

ক্যামরায় বন্দি করেছিলাম কিছুটা অংশ সিবাল্ড পয়েন্টের সন্ধ্যা।



Aam pata Jora Jora

Sunset...Sibbald Point

Shadow of Love

Sunset Moment



Kironi

Goodbye Sunny...

Monday, November 23, 2009

Amir Khan - Made me Cry!

Damn this man! Amir Khan's Best, Superb, Beautiful, Touchy, Mind-blowing, Successful, Fantastic Films makes me watch them over and over. I have never like watching a favorite movie twice, when it comes to "Amir" it's exceptional.

His movie
Taare Zameen par, has been releases in many other languages. Rang De Basanti - just finished watching this movie. How many times I have watched this movie? to be honest I didn't count. Don't want to count. But the truth is system still corrupted, but tears don't stop after watching it. Lagaan, Dil Chahata Hai - who would forget about this one? What? You haven't watched this movie?? GO AND WATCH IT...NOW! Ghulam, Mann, Earth, Ghajini - little bit disappointing of remake. Performance was stunning. I like "Ashin" entry and her role in the movie. Raja Hindustani, Akele hum Akele tum...and of course two of his greatest funniest films, Andaz apna apna - Can't stop watching this film "aaila" and the last but not least Ishq...

Amir Khan is one of the best actor who has Quality number of movies. I wish him good luck on his future journey and hope to see more and more funny movies :) like "Andaz Apna Apna"...And if you are reading my blog somehow...I salute you for your performance.




Thursday, November 19, 2009

কুহেলিকা...

"সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সারাদিন আমি যেন ভালো হইয়া চলি..."

আমি প্রতিদিন সকালে উঠে এই পন করি। লক্ষি মেয়ের মত? জানা নেই। তবে হে, চোখ খুলতেই দেখতে পায় আকাশ আমার দিকে তাকিয়ে আছে... ও বলেছিলাম কি? আমার বিছানা হইতে আকাশ দেখা যাই? যি হা! প্রতিদিন এই আকাশ দেখে আমি প্রতিজ্ঞা করি যেন লক্ষি মেয়ের মত গুরুজনের কথা শুনে চলতে পারি। লক্ষি মানে? হয়ত চুপ চাপ থাকা, দুষ্টমি না করা, তর্ক না করা, মোনোযোগ দেয়া কর্মে, নাচানাচি না করা, আর গান? ...কিন্তু এইসব কিছুই আমার সাথে মিলেনা। তাই প্রতিনিয়ত আকাশ পানে তাকালেই আমি কান ধরে ক্ষমা চেয়েনি। আমি আজকে ভালো থাকব...

আর আজকে ব্যাপারটা অন্যরকম হল...
কুহেলিকা...
"মেঘ পিওনের বেগের ভিতর মন খারাপের দিস্তা...মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা..."

হুম্মম্মম্ম...কুয়াশা, কুয়াশা, কুয়াশা...কিছু দেখা যাচ্ছেনা...ইশ...খুব মনে পরছে...ও কাজে...তাই একা একা বের হতে ইচ্ছে করছেনা...তাই বলে মিনা বসে থাকতে পারেনা...মনের আনন্দ ধরে রাখতে পারেনা। নাহ! লক্ষি আর থাকা গেলনা আজকে।

"দু হাত তুলে কোমল সুরে ডাকে কুয়াশা...সপ্ন চোখে তাই দৃশ্য একে যাই...নেচে কুয়াশায়..."

গরম গরম চা বানালাম আর সাথে? হুম্মম্মম্ম...মুড়ি। বারান্দায় দাঁড়িয়ে খেলাম...সাথে কুয়াশার খেলা দেখলাম...অনেক অনেক অনেক ঠান্ডা। নাহ একদম ভালোনা, ঠান্ডা ছাড়া সব ভালো সাথে বৃষ্টি আর কি লাগে? এখন শয়তানি করা শুরু হবে...এখনের জন্য বিদায়...কুয়াশা আমায় ডাকছে...

"ডাকে কুয়াশা, ভেজে বরষা..."